ইউশা (আ.) এর জীবনী | Biography of Al-Nabi Yusha'

ইউশা (আ.) এর জীবনী | Biography of Al-Nabi Yusha'

May 26, 2025 - 22:56
Jun 20, 2025 - 16:19
 0  1
ইউশা (আ.)  এর জীবনী | Biography of Al-Nabi Yusha'

যিহোশূয়

ভাববাদী

জন্ম

গোশেন (নিম্ন মিশর), প্রাচীন মিশর

মৃত্যু

কনান

শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

ইহুদিধর্ম
খ্রিস্টধর্ম
ইসলাম

প্রধান স্মৃতিযুক্ত স্থান

যিহোশূয়ের সমাধি বা যিহোশূয়ের পাহাড়

উৎসব

  • ২৬ জুলাই: আর্মেনীয় প্রেরিতীয় মণ্ডলী
  • ১ সেপ্টেম্বর: রোমান ক্যাথলিক মণ্ডলী
  • ১ সেপ্টেম্বর: পূর্ব অর্থডক্স মণ্ডলী

বৈশিষ্ট্যাবলী

কালেবের সাথে প্রায়শই কনান দেশ থেকে আঙুর সংগ্রহরত অবস্থায় প্রদর্শন করা হয়

হযরত ইউশা ইবনে নুন (আ) - যিনি ভৃত্য থেকে রাজা হয়েছিলেন

ইয়াহোশুয়া

 (হিব্রু ভাষায়: יְהוֹשֻׁעַ‎, Yəhōšūaʿ; আরামীয়: יֵשׁוּע‎, Yēšūʿ; সিরীয়: ܝܫܘܥ ܒܪ ܢܘܢ‎, Yəšūʿ bar Nōn; গ্রিক: Ἰησοῦς; আরবি: يُوشَعُ ٱبْنُ نُونٍ, প্রতিবর্ণীকৃত: Yūšaʿ ibn Nūn; লাতিন: Iosue) হলেন হিব্রু বাইবেল বা ওল্ড টেস্টামেন্ট আদিপুস্তক  গণনা পুস্তক অনুসারে মুসার সহকারী যিনি ইয়াহোশুয়ার পুস্তক অনুসারে পরবর্তীতে ইস্রায়েলীয়দের নেতা হিসেবে মুসার স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি ছিলেন ইফ্রয়িম বংশীয় নূন এর পুত্র। তার প্রকৃত নাম ছিল হোশেয় (הוֹשֵׁעַ, Hōšēaʿ), কিন্তু মুসা তাঁকে ইয়াহোশুয়া বলে ডাকতেন। বাইবেল অনুসারে ইজরাইলিদের প্রস্থানের পূর্বে প্রাচীন মিশর দেশে তার জন্ম হয়েছিল।

নবী মুসা আঃ এঁর মৃত্যুর পর আসমানি কিতাব তাওরাত প্রচারের কাজে নিয়োজিত ছিলেন তিনি।

হিব্রু বাইবেল মুসার দ্বারা কেনান দেশটি অনুসন্ধান করার জন্য প্রেরিত ইস্রায়েলের বারোজন গুপ্তচর হিসাবে যিহোশূয়কে চিহ্নিত করেছিল। গণনা পুস্তক ১৩:১ অনুসারে, ও মোশির মৃত্যুর পরে তিনি ইজরাইলের দ্বাদশ বংশ এর কেনান জয়ের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং বংশগুলোর জন্য জমি বরাদ্দ করেছিলেন। বাইবেলের কালানুক্রম অনুসারে, ইয়াহোশুয়া ব্রোঞ্জ যুগ কিছুকাল বেঁচে ছিলেন।৷ ইয়াহোশুয়ার পুস্তক ২৪:২৯ অনুসারে, তিনি ১১০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

ইসলাম ধর্মে

যিহোশূয় তথা ইউশা ইবনে নূন (আরবি: يُوشَعُ ٱبْنُ نُونٍ, প্রতিবর্ণীকৃত: Yūšaʿ ibn Nūn) মুসলমানদের মাঝেও সম্মানিত। ইসলামি ঐতিহ্য অনুসারে, তিনি কালেবের সাথে ছিলেন, মুসা যে দুজন বিশ্বাসী গুপ্তচরকে কেনান দেশটি গুপ্তচর প্রেরণের জন্য প্রেরণ করেছিলেন, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন। মুসার মৃত্যুর পরে মুসলমানরা ইউশাকে বিশ্বস্ত নেতা হিসাবে বা নবী হিসাবে দেখেছিল। কিছু মুসলমান আরও বিশ্বাস করেন যে, মুসার খিজিরের সাথে সাক্ষাত হওয়ার আগে তিনি কুরআনে উল্লিখিত মুসার পরিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। হাদিসে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বর্ণনার পাশাপাশি ইউশা ইসলামি সাহিত্যে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ইউশা ইবনে নূন (নূন এর পুত্র ইউশা) হচ্ছেন মূসা (আঃ) এর সাহাবীদের মধ্যে প্রথম প্রজন্মের একজন। তিনি ছিলেন ইউসুফ (আঃ) এর বংশধর। তওরাতের কিছু বাণী আছে এমন একটি গ্রন্থ 'বাইবেল' এ তিনি নবী হিসেবে উল্লেখিত আছেন। তিনি সেই বারোজনের একজন যাদেরকে ফিলিস্তিন নগরীতে গোয়েন্দা হিসেবে পাঠানো হয়েছিল নগরী পর্যবেক্ষণ করার জন্য। পরে তারা (বারোজন) ফিলিস্তিনের লোকেদের বিশালতার বর্ণনা দিলে বনী ইসরাঈল জিহাদের ডাকে অবজ্ঞা করার সময় তিনি পুরো বনী ইসরাঈলের মধ্যে দুইজনের একজন ছিলেন যারা তাদের বিরোধিতা করেন এবং হাতে পাথর নিয়ে ঘৃণা প্রদর্শনে নিক্ষেপ করেন। অন্যজন ছিলেন কালেব।

তিনি ইসলাম নিভে যাবার পথ হবার সময় প্রদীপ্ত রেখেছিলেন নবীগণের (মুসা ও হারুন তথা সকলের) হাত। তিনি সংখ্যার ওপর ভিত্তি না করে বরং ইখলাসের ওপর ভরসা করেছিলেন। আল কুরানে বর্ণিত মূসার সঙ্গী নামে অভিহিত ব্যক্তিটি তিনি ছিলেন বলে বিবেচিত হয়। পরবর্তীতে মূসা (আঃ) এর ওফাত এর পর তিনি বনী ইসরাঈলের খলীফা হন। ফিলিস্তিন (অঙ্গীকারবদ্ধ ভুমি) জয়ে নেতৃত্ব দেন। ফিলিস্তিন দখলের দিন বিকাল হয়ে গেলে তিনি আল্লাহর কাছে সুর্যকে থামার জন্য দোয়া করেন এবং তিনি ফিলিস্তিন দখল করা পর্যন্ত সুর্য স্থির ছিল। পরে তিনি নবুওয়াত প্রাপ্ত হয়ে একজন নবী হন।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘... তারা অভিযান পরিচালনা করল, তারা আসরের সময় বা তার নিকটবর্তী সময়ের জনপদের নিকটবর্তী হলো। তিনি (ইউশা ইবনে নুন) সূর্যের উদ্দেশে বললেন, নিশ্চয়ই তুমি আদিষ্ট এবং আমি আদিষ্ট। হে আল্লাহ! আপনি একে (সূর্য) আমাদের ওপর স্থির রাখুন।

তাকে স্থির রাখা হলো যতক্ষণ না আল্লাহ তাদের বিজয় দান করেছিলেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩১২৪)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘মানুষের ওপর সূর্যকে কখনো স্থির রাখা হয়নি, তবে ইউশা (আ.)-এর জন্য রাখা হয়। যে রাতে তিনি বায়তুল মোকাদ্দাসে সফর করেন।’ (ইবনুল কায়্যিম জাওজি, ফাদায়িলুল কুদস, পৃষ্ঠা. ১১৩)

সময়ের সব ধরনের নিয়ন্ত্রণ আল্লাহর হাতে। তিনি তাঁর প্রজ্ঞার আলোকে সময়কে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আবদ্ধ করেছেন।

যেদিন এই শৃঙ্খলা ভেঙে যাবে এবং সময়ের গতি থেমে যাবে, সেদিন প্রতিশ্রুত কিয়ামত সংঘটিত হবে। আল্লাহ বলেন, ‘যখন চোখ স্থির হয়ে যাবে, চাঁদ জ্যোতিহীন হবে এবং সূর্য ও চন্দ্রকে একত্র করা হবে, সেদিন মানুষ বলবে, পালানোর জায়গা কোথায়?’ (সুরা : কিয়ামা, আয়াত : ৭-১০)

হযরত ইউশা ইবনে নুন (আ)-এর কথাই বলছিলাম। তিনি ছিলেন হযরত মুসা (আ)-এর কাজের লোক। মুসা নবী যখন হযরত খিযির (আ)-এর সাথে দেখা করতে যান, তখন তাঁর সাথে ছিলেন একজন পরিচর্যাকারী বা খাদিম, অন্য অর্থে ভৃত্য। এই খাদিম ব্যক্তিটিই ছিলেন ইউশা- যাকে ইসলামে নবী'র সম্মান দেওয়া হয়েছে।

হযরত মুসা'র পরে ইউশা ইবনে নুনই বনী ইসরাইলীদের রাজা হোন। তিনি ইসরাইলী গোত্রকে নেতৃত্ব দিয়ে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস জয় করেন। হযরত ইউশা'র কাছেই ছিলো মুসা নবী'র কাপড় এবং ট্যাবলেট।

আজ আমরা বাড়ির ভৃত্যদের সাথে কি সব ব্যবহার করি। অথচ, কোরআন আমাদের অন্য কিছু শিক্ষা দেয় যা আমরা ভুলে গিয়েছি।

sourse: wikipedia  ... kalerkantho ... somewhereinblog

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0