রিধিমা ঘোষ এর জীবনী | Biography Of Ridhima Ghosh
রিধিমা ঘোষ এর জীবনী | Biography Of Ridhima Ghosh

২০১৯ সালে রিধিমা
|
|
জন্ম |
১৮ জানুয়ারি ১৯৮৯ কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
|
---|---|
অন্যান্য নাম |
রিধি |
মাতৃশিক্ষায়তন |
লরেটো হাউস ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি কলেজ |
পেশা |
অভিনেত্রী টেলিভিশন সঞ্চালক |
কর্মজীবন |
২০০৭–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী |
গৌরব চক্রবর্তী (২৮ নভেম্বর ২০১৭-বর্তমান) |
সন্তান |
ধীর |
আত্মীয় |
সব্যসাচী চক্রবর্তী (শ্বশুর) মিঠু চক্রবর্তী (শাশুড়ি) অর্জুন চক্রবর্তী (দেবর) |
রিধিমা ঘোষ
(জন্ম ১৮ জানুয়ারি ১৯৮৯) একজন ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেত্রী। তিনি ২০০৭ সালে সঙ্ঘমিত্র চৌধুরীর রাতপরীর রূপকথা চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি ২০০৯ সালে স্টার জলসায় সম্প্রচারিত টিভি সিরিজ বৌ কথা কওয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে টেলিভিশনে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি ২০১১ সালের অন্যতম প্রশংসিত চলচ্চিত্র কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের রং মিলান্তিতে অভিনয় করার জন্য বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন।
শিক্ষা
রিধিমা তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন লরেটো হাউসে ভর্তির মাধ্যমে। তিনি ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
রিধিমা ১৯৮৯ সালের ১৮ জানুয়ারি কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারতে জন্মগ্ৰহণ করেন। তার বেড়ে ওঠা কলকাতায়। দীর্ঘদিন যাবৎ তার অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তী এর সাথে বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের প্রথম আলাপ হয় রং মিলান্তি ছবির স্ক্রিপ্ট রিডিংয়ে ৫ই সেপ্টেম্বর ২০১০ সালে। তিনি ২৮ নভেম্বর ২০১৭ সালে গৌরবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার শ্বশুর হলেন অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী এবং শ্বাশুড়ি হলেন অভিনেত্রী মিঠু চক্রবর্তী। তার দেবর হলেন অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী। তার একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। তার নাম ধীর।
ক্যারিয়ার
রিধিমা ২০০৯ সালে স্টার জলসার মেগাসিরিয়াল বৌ কথা কও-এর মাধ্যমে ছোটপর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। ইতোপূর্বে তিনি ২০০৭ সালে সঙ্ঘমিত্র চৌধুরীর রাতপরীর রূপকথা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়র রং মিলান্তি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বেশ পরিচিতি লাভ করেন। যেটি ২০১১ সালে বাণিজ্যিকভাবে সফল ও সমালোচক দ্বারা প্রশংসিত হয়। ২০১৪ সালে তিনি কালার্স বাংলার ক্লাসিক গোয়েন্দা টিভি সিরিজ ব্যোমকেশে অভিনয়ের মাধ্যমে ছোটপর্দায় ফিরে আসেন। সেখানে তিনি সত্যবতীর ভূমিকায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
চলচ্চিত্রসমূহ
সাল | চলচ্চিত্র | চরিত্র | পরিচালক | সহ-শিল্পী |
---|---|---|---|---|
২০০৭ | রাতপরীর রূপকথা | দিয়া | সঙ্ঘমিত্র চৌধুরী | জ্যাকি শ্রফ |
২০০৯ | ফ্রেন্ড | দিয়া | শতাব্দী রায় | সব্যসাচী চক্রবর্তী |
২০০৯ | অমর সঙ্গী | প্রিয়া | সুবাহ সেন | মৈনাক ব্যানার্জি |
২০১০ | লাভ কানেকশন | রাই | বিরেশ চট্টোপাধ্যায় | সানি |
২০১১ | পিরিতি কাঁঠালের আঠা | মুন | রেশমি মিত্র | সৌরভ |
২০১১ | রঙ মিলান্তি | কমলিকা | কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় | গৌরব চক্রবর্তী |
২০১২ | ল্যাপটপ | রায়া | কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় | গৌরব চক্রবর্তী |
২০১২ | হঠাৎ সেদিন | দীপা | বাসু চ্যাটার্জী | ফেরদৌস আহমেদ |
২০১৩ | বাইসাইকেল কিক | মাধবীলতা | দেবাশীষ সেন শর্মা ও সুমিত দাস | সৌরভ বন্দোপাধ্যায় |
২০১৩ | কিডন্যাপার | কোয়েল | রূপক মজুমদার | সমদর্শী দত্ত |
২০১৩ | আমার বডিগার্ড | আঁখি | হরনাথ চক্রবর্তী | প্রতীক |
২০১৩ | আসব আরেক দিন | কুহু | অভিজিৎ দাশগুপ্ত ও অরিন্দম শীল | গৌরব চক্রবর্তী |
২০১৩ | হাফ সিরিয়াস | তুলি | উৎসব মুখার্জি | সাহেব ভট্টাচার্য |
২০১৫ | ফেকবুক | পায়েল | সঞ্জয় বর্ধন | গৌরব চক্রবর্তী |
২০১৫ | আগুন | দিয়া চৌধুরী | জয়দীপ মুখোপাধ্যায় | সব্যসাচী চক্রবর্তী |
২০১৫ | রাজকাহিনী[৬] | ফাতিমা/শবনম | সৃজিত মুখোপাধ্যায় | ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত |
২০১৮ | ক্রিসক্রস | বিরসা দাশগুপ্ত | অর্জুন চক্রবর্তী ও জয়া আহসান | |
২০২০ | দ্বিতীয় পুরুষ[৭] | অঙ্কিতা | সৃজিত মুখোপাধ্যায় | গৌরব চক্রবর্তী |
২০২৩ | টেনিদা এ্যান্ড কোম্পানি[৮] | অন্বেষা | সায়ন্তন ঘোষাল | সব্যসাচী চক্রবর্তী, মিঠু চক্রবর্তী ও গৌরব চক্রবর্তী |
২০২৩ | নিখোঁজ | তনয়া | আরণ্যক চ্যাটার্জি | সোহম চক্রবর্তী ও সোমরাজ মাইটি |
বিয়ে করলেই নাকি নায়িকাদের কেরিয়ার শেষ? এ হেন ধারণা এখনও রয়েছে ইন্ডাস্ট্রির আনাচে কানাচে। অনেকে প্রকাশ্যে এ নিয়ে কথা বলেন। আবার অনেকে বলেন আড়ালে। অভিনেত্রী ঋদ্ধিমা ঘোষও এ হেন মন্তব্য বহুবার শুনেছেন। প্রতি বারই স্ট্রেট ব্যাটে ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।
গত নভেম্বরে দীর্ঘদিনের বন্ধু গৌরব চক্রবর্তীকে বিয়ে করেছেন ঋদ্ধিমা। বিয়ের আগে থেকেই এ হেন মন্তব্য কানে এসেছিল তাঁর। তখনই খোলামেলা জবাব দিয়েছিলেন। আর বিয়ের পর থেকে ক্রমাগত কাজ করে চলেছেন। তাতেও কি নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে?
সদ্য মুক্তি পেয়েছে বিরসা দাশগুপ্তের ‘ক্রিসক্রস।’ সেখানে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋদ্ধিমা। ফিডব্যাক কেমন? ‘‘আমার সীমিত চরিত্র। মোটামুটি টুইটারে ভাল রেসপন্স পেয়েছি। ক্রিসক্রস-এ এতগুলো ডিফারেন্ট চরিত্র, সবাই রিলেটেবল।সে জন্যই ভাল করবে বলে মনে হয়’’ বললেন তিনি।
এ ছাড়া অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত প্রথম শর্ট ফিল্ম ‘দ্য পোয়েটিক জাস্টিস’-এ অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন ঋদ্ধিমা। তারই শুটিংয়ের ফাঁকে শেয়ার করলেন, ‘‘জয়জিতের সঙ্গে আমার অনেকদিনের অ্যাসোসিয়েশন। এটা ওর প্রথম শর্ট ফিল্ম। যখন বলল, আমি ছবিটা করছি তোকে করতে হবে, তখন না বলার প্রশ্নই নেই। দু’জন মানুষকে নিয়ে গল্প। সৌমি এবং স্যাম। যারা রিলেশনশিপে আছে। একটা দিনের ঘটনা।’’
পর পর বেশ কিছু শর্ট ফিল্মে অভিনয় করেছেন ঋদ্ধিমা।তার মধ্যে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের প্রোডাকশনে ‘সারপ্রাইজ’ অন্যতম। মাস খানেকের মধ্যেই ‘হইচই’ প্ল্যাটফর্মে ফের তাঁর ব্যোমকেশও শুরু হবে। কিন্তু এখনও তাঁর মনে হয়, তাঁদের জেনারেশন সে ভাবে সুযোগ পাচ্ছে না। তার কারণ কী?
ঋদ্ধিমা শেয়ার করলেন, ‘‘এখন অনেক বেশি কাজ করছি। আমার মনে হয় এটা ওয়েবের জন্য। এনজয় করছি। আসলে কনটেন্ট বলুন বা স্কোপ অ্যাজ অ্যান অ্যাক্টর ওয়েবে বেশি পাচ্ছি। ফিচার ফিল্মে তো আমাদের সে ভাবে ভাবা হচ্ছে না। জানি না কেন, আমরা অতটা সুযোগ পাই না। আই থিঙ্ক ইটস ভেরি আনফরচুনেট। ঋদ্ধিমা শুধু একটা বাবলি মেয়ের চরিত্রই করতে পারে, সেই ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। আমরা তো মনে হয় অ্যাটলিস্ট অডিশন করে দেখা হোক।’’
বিয়ের পর আর অভিনয় করবেন না, এ হেন ধারণাও সামলাতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। তাঁর কথায়, ‘‘আমি একটু চুজি। বেছে কাজ করি। যখন ধরুন ভাল কিছু পেলাম না, তিন মাস বাড়িতে থাকলাম। তখন লোকে বলতে শুরু করে, ও তো কাজ পায় না বা ও কাজ ছেড়ে দিয়েছে। আমি আবারও ক্ল্যারিফাই করতে চাই আমি কাজটা এনজয় করছি। যতদিন পারব কাজ করে যাব।’’
দাদু-ঠাকুমার পাশাপাশি প্রতিদিন ঋদ্ধিমার বাবা আসেন নাতির সঙ্গে খেলা করতে। দু'জন একে অন্যের বেস্ট ফ্রেন্ড। তবে ঋদ্ধিমার কথায়, ধীরের কাছে ওর মা সবচেয়ে প্রিয়। মা-ছেলের বন্ডিং দারুণ। অভিনেত্রীর একটাই চাওয়া, ‘ও যেমন ইচ্ছা জীবন উপভোগ করুক না কেন, যেন ভালো মানুষ হয়। বড়দের সম্মান করতে শেখাটা খুব দরকার। আর একটা কথা, আমি চাই ধীর ওর বাবার মতো হোক। সত্যি বলছি মনে-প্রাণে সেটাই চাই।’
ছেলের জন্মের পর কাজ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন ঋদ্ধিমা। তাঁর কথায়, ‘যদি খুব ভালো কিছু কাজ না আসে, করব না। এই সময়টা আমি ধীরের সঙ্গে কাটাতে চাই। ওর বেড়ে ওঠা দেখতে চাই। ছোট ছোট মুহূর্তগুলো মনের ভিতর গেঁথে রাখতে চাই।’
সন্তান জন্মের পর যখন ঋদ্ধিমা শুটিংয়ে যেতেন, খালি মনে হতো এই বুঝি বাড়িতে হামাগুড়ি দেবে ধীর। সেই মুহূর্তগুলো মিস করে যাবেন না তো ঋদ্ধিমা? অভিনেত্রী বললেন, ‘১৮ ঘণ্টা শুটিংয়ের জন্য বাইরে থাকতে হতো। তখন নিজেকেই প্রশ্ন করতাম, আচ্ছা, আমি কি এটা ঠিক করছি? এটা এমন একটা অনুভূতি যে, বলে বোঝাতে পারব না।’
ধীর এখন থেকেই বইয়ের পাতা উল্টাতে ভালোবাসে। ঋদ্ধিমা তাঁকে খুব ছেলেবেলা থেকেই বই পড়িয়ে শোনাতেন। ফলে সেই অভ্যাসটা হয়ে গিয়েছে। তবে অতটুকু ছেলেকে নিয়ে এখনই দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তে ঘুরছেন ঋদ্ধিমা-গৌরব। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমরা তিনজন একসঙ্গে পুরো পৃথিবী দেখতে চাই।’
soruse ; wikipedia anandabazar eisamay
What's Your Reaction?






