আমির খান এর জীবনী | Biography Of Aamir Khan

আমির খান এর জীবনী | Biography Of Aamir Khan

May 13, 2025 - 12:08
May 14, 2025 - 02:18
 0  2
আমির খান এর  জীবনী |  Biography Of  Aamir Khan

আমির খান

 মোহাম্মদ আমির হোসেন খান

, ১৪ মার্চ ১৯৬৫) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্য লেখক এবং টেলিভিশন উপস্থাপক। হিন্দি চলচ্চিত্রে সফল কর্মজীবনের মাধ্যমে, আমির খান ভারতীয় চলচ্চিত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী অভিনেতা এক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার এবং মনোনয়ন অর্জন করেছেন, এবং ভারত সরকার কর্তৃক ২০০৩ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০১০ সালে পদ্মভূষণ পদকে সম্মানিত করা হয়। এছাড়া তিনি মাঝে মাঝে গান গেয়ে থাকেন।[][] তিনি নিজস্ব উদ্যোগে চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা আমির খান প্রোডাকশন্‌স প্রতিষ্ঠা করেছেন।

চাচা নাসির হুসেনের 'ইয়াদোঁ কি বারাত' (১৯৭৩) ছবিতে একজন শিশুশিল্পী হিসাবে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। তবে পেশাগতভাবে তার অভিনয় জীবনের সূচনা হোলি (১৯৮৪) ছবির মাধ্যমে। প্রথম বাণিজ্যিকভাবে সফল ছবি চাচাতো ভাই মনসুর খানের কেয়ামত সে কেয়ামত তক। এই ছবির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত মোট সাতবার মনোনয়ন পেলেও তিনি ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার জেতেননি। অবশেষে ১৯৯৬ সালে "রাজা হিন্দুস্তানি" ছবির জন্য তিনি ফিল্ম ফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পান।

ভারত সরকারের তাকে শিল্পকলার প্রতি তার অবদানসমূহের জন্য ২০০৩ সালে পদ্মশ্রী পদক এবং ২০১০ সালে পদ্মভূষণ পদকে ভূষিত করেন।[][][] ২০১৩ সালের এপ্রিলে, টাইম ম্যাগাজিনের তালিকার তিনি বিশ্বের ১০০ সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন

প্রাথমিক জীবন

১৯৬৫ সালের ১৪ মার্চ আমির খান ভারতের মুম্বইয়ে বান্দ্রা হলি ফ্যামিলী হাসপাতালে একটি মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন; তার পুরো নাম ছিলো আমির হোসেন খান। যিনি সক্রিয়ভাবে কয়েক দশক ধরে ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের সাথে জড়িত। তার পিতা তাহির হুসেন ছিলেন একজন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং তার চাচা নাসির হুসাইন ছিলেন একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতা। তার পরিবার ভারতীয় চলচ্চিত্রের সাথে কয়েক দশক ধরে জড়িত। আমির খান এর মায়ের নাম হল জিনাত হোসেন।[১৩][১৪][১৫] তার ভাই বোনেরা হলেন "ফয়সাল খান", "ফরহাত খান" এবং "নিখাত খান"। ইমরান খান হলেন আমির খানের ভাগ্নে।

কর্মজীবন

আমির খান মাত্র আট বছর বয়েসে ইয়াদোঁ কি বারাত (১৯৭৩) এবং মাদহোশ (১৯৭৪) শিশু অভিনেতা হিসাবে কাজ শুরু করেন। ১১ বছর পর প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেতা হিসাবে কেতন মেহতার হোলি (১৯৮৪) ছবিতে কাজ করেন, যদিও ছবিটি তেমন সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়নি। প্রথম উল্লেখযোগ্য ছবি হিসেবে ১৯৮৮ সালে কেয়ামত সে কেয়ামত তক মুক্তি পায়, যেটি মনসুর খান নির্দেশনা করেন | ছবিটি বিরাট সাফল্য পায় এবং মুখ্য ভূমিকায় আমির খান জনপ্রিয় হয়ে যান।

আমিরের চকোলেট হিরো লুক এর জন্য তিনি "টিন আইডল" হিসাবে পরিচিতি পান। রাখ ছবির জন্য আমির জাতীয় পুরস্কার পান, স্পেশাল জুরি শ্রেণীতে| ৮০ দশকের শেষে এবং ৯০ দশকের শুরুতে আমির বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন,যেমন দিল (১৯৯০), দিল হে কে মানতা নেহি (১৯৯১), জো জিতা ওহি সিকান্দার (১৯৯২), হাম হ্যায় রাহি পেয়ার কে (১৯৯৩) (যার চিত্রনাট্যও তিনি লেখেন), এবং রঙ্গিলা (১৯৯৫)|

সব কটি ছবি সমালোচক কর্তৃক ও বাণিজ্যিকভাবে সাফল্য পায় | আমির বছরে ১টি কি ২টি ছবিতে অভিনয় করতে শুরু করলেন। ১৯৯৬ সালে দারমেশ দর্শন-এর রাজা হিন্দুস্তানি ছবিতে করীশমা কপূর-এর বিপরীতে অভিনয় করেন |

 রাজা হিন্দুস্তানি এর জন্য আমির প্রথম টাইম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান, সাতবার মনোনীত হওয়ার পর| রাজা হিন্দুস্তানি ৯০-এর দশকের বড় হিট ছবিগুলোর মধ্যে একটি ছিল| ১৯৯৭ এ অজয় দেবগন, জুহি চাওলা  কাজলের সাথে ইশক নামের একটি কমেডি ছবিতে অভিনয় করেন, যেটি বেশ ভালো সাফল্য পায়|

 বেশ কিছু ছবি, যেমন: সরফরোশ, আর্থ এ দারুণ অভিনয় করার জন্য তিনি সমালোচক কর্তৃক প্রশংসিত হন| ২০০১ এ ‘লগান’ ছবিতে ‘ভুবন’ এর চরিত্রে অভিনয় করে অসাধারণ একটি গল্প আমাদেরকে উপহার দেন, যে ছবিটি ভারতীয় ক্রিকেট দলকে অণুপ্রাণিত করে ২০০১ এর ন্যাটওয়েস্ট সিরিজ  ২০০৩-এর ক্রিকেট বিশ্বকাপে।

 ‘লগান’ বাণিজ্যিক সাফল্য পায় এবং সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র হিসেবে ৭৪তম একাডেমী অ্যাওয়ার্ডে মনোনিত হয়। দিল চাহ্‌তা হ্যাঁয় (২০০১) ছবিতে একজন আধুনিক যুবকের ভূমিকায় অভিনয় করে সকলকে তাক লাগিয়ে দেন। চার বছর কোনো ছবিতে কাজ না করার পর ২০০৫ এ কেতন মেহতার মঙ্গল পাণ্ডে: দ্য রাইজিং ছবিতে ছবির নামভূমিকায় অভিনয় করেন।

 ২০০৬ সালে রঙ দে বাসন্তী ছবির জন্য আমির সেরা অভিনেতা (সমালোচকদের পছন্দ) ফিল্মফেয়ার এর পুরস্কার পান। ছবিটি ২০০৬ এর শ্রেষ্ঠ বাণিজ্যিক সাফল্য পায় এবং বৈদেশিক ছবির শ্রেণীতেতে অস্কারের জন্য মননীত হয়। ২০০৭ এ আমির ছবির প্রযোজক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং একটি ডিজলেক্সিয়ায় আক্রান্ত বাচ্চার গল্প আমাদের সামনে তুলে ধরেন, ছবির নাম তারে জমিন পার

২০০৮ এ নিজেকে পুরোপুরি বদল করে আমির গজনী নামের দক্ষিণী পুনঃনির্মিত ছবিতে অভিনয় করেন, যেটি বিরাট সাফল্য পায়। ২০০৯ এ আমির থ্রি ইডিয়টস ছবিতে 'র‍্যাঞ্চো' চরিত্রে অভিনয় করেন,যেটি এখন পর্যন্ত বলিউড এর ইতিহাসে সর্বাধিক জনপ্রিয় ছবি | আমিরের পরের ছবি তালাশ ৩০ নভেম্বর, ২০১২-তে মুক্তি পেয়েছে। ২০১৪ তে মুক্তি পায় আমির অভিনীত পিকে মুভিটি। এ পর্যন্ত বলিউডের সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবির তালিকায় রয়েছে আমিরের পিকে। প্রথম ছবি হিসেবে শুধু ভারতেই ৩০০ কোটি রুপি আয়ের মাইলফলক স্পর্শ করা ‘পিকে’ এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০০ কোটি রুপি আয় করে তার এই সিনেমাটি বলিউডের সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার শীর্ষে অবস্থান করছে।

 আমির সামাজিক সমস্যা গুলো নিয়ে সত্যমেব জয়তে নামে একটি নতুন টক-শো পরিবেশনা করছেন, যেটি মানুষকে নতুন ভাবে চিন্তাভাবনা করতে বাধ্য করছে সামাজিক বিষয়গুলোকে নিয়ে এবং তার প্রতিকার নিয়ে। এই শোটিও ভারত ও এর বাইরে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে।

ব্যক্তিগত জীবন

মুম্বইয়ের একটি অনুষ্ঠানে আমির খান ও কিরণ রাও

আমির রীনা দত্ত নামের এক তরুণীকে ১৯৮৬ সালের ১৮ই এপ্রিল বিয়ে করেন, এই রীনা কেয়ামত সে কেয়ামত তক চলচ্চিত্রের একটি গানে কিছুক্ষণের জন্য অভিনয় করেছিলেন। তাদের জুনায়েদ নামের একটি পুত্র এবং ইরা নামের একটি মেয়ে হয়। রীনা আমিরের চলচ্চিত্র লগান এর প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছিলেন। ২০০২ সালের ডিসেম্বরে আমির রীনাকে তালাক দেন এবং জুনায়েদ এবং ইরার দায়িত্ব রীনা নেন। ২৮শে ডিসেম্বর আমির কিরণ রাওকে বিয়ে করেন যিনি আমিরের লগান চলচ্চিত্রের পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকর এর সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন।

৩ জুলাই ২০২১ সালে স্ত্রী কিরণ রাওয়ের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় আমির খানের।

৯৯৪ আন্দাজ আপনা আপনা অমর শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার - মনোনয়নপ্রাপ্ত
১৯৯৫ বাজি ইন্সপেক্টর অমর দামজি
আতঙ্ক হি আতঙ্ক রোহন
রঙ্গিলা মুন্না
আকেলে হম আকেলে তুম রোহিত শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার - মনোনয়নপ্রাপ্ত
১৯৯৬ রাজা হিন্দুস্তানি রাজা শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার - বিজয়ী
১৯৯৭ ইশক রাজা
১৯৯৮ গোলাম সিদ্ধার্থ মারাঠে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার - মনোনয়নপ্রাপ্ত
শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার - বিজয়ী
১৯৯৯ সরফরোশ অজয় সিং রাঠোড় শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার
মন করণ দেব সিং
আর্থ দিল নাভেজ শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের জন্য ভারতীয় নিবেদন
২০০০ মেলা কিশান পেয়ারে
২০০১ লাগান ভুবন শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার
সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র হিসেবে একাডেমি পুরস্কারের জন্য ভারতীয় নিবেদন
দিল চাহ্‌তা হ্যাঁয় আকাশ মালহোত্রা শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার - মনোনয়ন
২০০৫ মঙ্গল পাণ্ডে: দ্য রাইজিং মঙ্গল পাণ্ডে
২০০৬ রং দে বসন্তি দালজিৎ সিং (ডিজে) শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার - বিজয়ী
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার - মনোনয়ন
বাফটা পুরস্কার: অ-ইংরেজি ভাষার সেরা ছবি মনোনয়ন
শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের জন্য ভারতীয় নিবেদন
ফানা রেহান কাদরি
২০০৭ তারে জমিন পর রাম শঙ্কর নিকুম্ব শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার - মনোনয়নপ্রাপ্ত
২০০৮ গজনী সঞ্জয় সিঙ্ঘানিয়া শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার - মনোনয়ন
২০০৯ থ্রি ইডিয়টস র‍্যাঞ্চো/ফুনসুখ ওয়াংড়ু
২০১০ ধোবি ঘাট অরুণ
২০১২ তালাশ সুরজন সিং শেখাওয়াত
২০১৩ ধুম ৩ সাহির খান/সমর খান
২০১৪ পিকে পিকে (ভিনগ্রহবাসী)
২০১৫ দিল ধ্বকনে দো
২০১৬ দঙ্গল মহাবীর ফোঘট
২০১৮ থাগস অব হিন্দোস্তান ফিরাঙ্গী মাল্লা
২০২২ লাল সিংহ চাড্ডা লাল সিংহ চাড্ডা
সালাম ভেঙ্কি নিজ অতিথি উপস্থিতি
২০২৪ সিতারে জমিন পর Not yet released ঘোষিত হবে

তারকাখ্যাতিতে উত্থান

১৯৯২ সালে খান "জো জিতা ওহি সিকান্দার" ("যে জিতবে সে রাজা") নাটকের মাধ্যমে দর্শকদের কাছে তার খ্যাতি আরও দৃঢ় করেন। সঙ্গীত-পরিচালক ভাই যতীন পণ্ডিত এবং ললিত পণ্ডিত, যারা যতীন-ললিত নামে পরিচিত, তাদের সুরে নির্মিত এই ছবির সাউন্ডট্র্যাক দর্শকদের মন জয় করে, "পেহলা নাশা" ("প্রথম নেশা") বলিউডের সবচেয়ে প্রিয় প্রেমের গানগুলির মধ্যে একটি হয়ে ওঠে। এর ধীর গতির ভিজ্যুয়াল এবং স্বপ্নময় সুর এটিকে বিশিষ্ট করে তোলে।

বেশ কিছু তরুণ রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয়ের পর, ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে খান বিভিন্ন ধরণের চরিত্রে অভিনয় করে তার বহুমুখী প্রতিভা প্রদর্শন শুরু করেন । তার কৌতুক প্রতিভা বিশেষ প্রশংসা অর্জন করে। তিনি সালমান খানের সাথে স্ল্যাপস্টিক রোমান্টিক-কমেডি আন্দাজ আপনা আপনা (১৯৯৪; "এভরিওন হ্যাজ দ্যায়ার ওন স্টাইল") ছবিতে অভিনয় করেন। মুক্তির পর এটি বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়নি কিন্তু পরে একটি কাল্ট ক্লাসিক হয়ে ওঠে। রঙ্গিলা (১৯৯৫);"বলিউড ড্রিমস " ("Bollywood Dreams ") ছবিতে তিনি একজন রাস্তার স্মার্ট অনাথ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যিনি তার শৈশবের প্রণয়ী অভিনেত্রীর আকস্মিক উত্থানের সাথে লড়াই করেছিলেন।

তিনি অভিনেত্রী কাজল , জুহি চাওলা এবং অজয় ​​দেবগনের সাথে রোমান্টিক কমেডি " ইশক" (১৯৯৭; "লাভ") ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তিনি বেশ কয়েকটি প্রশংসিত নাটকেও অভিনয় করেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে "রাজা হিন্দুস্তানি" (১৯৯৬), যার জন্য তিনি সেরা অভিনেতার জন্য ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার জিতেছিলেন, এবং দীপা মেহতার " আর্থ" (১৯৯৮), যেখানে তিনি ভারত বিভাগের অস্থিরতায় আটকে পড়া একজন সাধারণ মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ।

পুরস্কার এবং সম্মাননা

আমির খান ১৯৮৮ সালে কেয়ামাত সে কেয়ামাত তক চলচ্চিত্রের জন্য ফিল্ম ফেয়ার সেরা পুরুষ ডেব্যু পুরস্কার পান । এরপর তার চলচ্চিত্র জীবনে ১৬ বার ফিল্ম ফেয়ার সেরা অভিনেতা পুরস্কারের জন্য মনোনিত হন এবং এর ভিতরে 3 বার সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেন লাগান , রাজা হিন্দুস্তানি  দঙ্গল চলচ্চিত্রের জন্য । এছাড়া আমির খান সম্মানসূচক সুনাম হিসেবে ২০০৩ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০১০ সালে পদ্মভূষণ লাভ করেন ।

soruse : wikipedia ..-britannica

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0