অভিনেতা বিজয় এর জীবনী | Biography Of Joseph Vijay

অভিনেতা বিজয় এর জীবনী | Biography Of Joseph Vijay

May 14, 2025 - 12:49
May 16, 2025 - 17:28
 0  1
অভিনেতা  বিজয় এর জীবনী | Biography Of Joseph Vijay

জন্ম
জোসেফ বিজয় চন্দ্রশেখর

২২ জুন ১৯৭৪ (বয়স ৫০)
মাদ্রাজ, তামিলনাড়ু, ভারত (এখন চেন্নাই)
অন্যান্য নাম
  • ইলায়াথ্যালাপ্যাথি
  • থ্যালাপ্যাথি
মাতৃশিক্ষায়তন

লয়োলা কলেজ, চেন্নাই

পেশা

চলচ্চিত্র অভিনেতা

কর্মজীবন

১৯৮৪ – বর্তমান

দাম্পত্য সঙ্গী

সঙ্গীতা স্বর্ণালিঙ্গম (বি. ১৯৯৯)

সন্তান

পিতা-মাতা
  • এস এ চন্দ্রশেখর (বাবা)
  • শোভা চন্দ্রশেখর (মা)
আত্মীয়

চন্দ্রশেখর পরিবার দেখুন

জোসেফ বিজয় চন্দ্রশেখর

 (জন্ম ২২ জুন ১৯৭৪), পেশাগতভাবে বিজয় নামে পরিচিত, একজন ভারতীয় অভিনেতা এবং গায়ক যিনি মূলত তামিল সিনেমায় কাজ করেন ।  তিনি ইলায়াথ্যালাপ্যাথি বা থ্যালাপ্যাথি নামেও পরিচিত। তিনি ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতাদের মধ্যে একজন এবং সাতবার ফোর্বস ইন্ডিয়ার সেলিব্রিটি ১০০ তালিকায় স্থান পেয়েছেন।  তিনি একটি ওসাকা সেরা অভিনেতার পুরস্কার এবং একটি দক্ষিণ ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ একাধিক পুরস্কার জিতেছেন

ব্যক্তিগত জীবন

বিজয় ১৯৭৪ সালে ২২শে জুন মাদ্রাজে (এখন চেন্নাই) জন্মগ্রহণ করেন।  তার বাবা এস এ চন্দ্রশেখর একজন তামিল চলচ্চিত্র পরিচালক  এবং তার মা শোভা চন্দ্রশেখর একজন প্লেব্যাক গায়ক এবং কর্ণাটিক কণ্ঠশিল্পী।  তার বাবা খ্রিস্টান ভেল্লালার বংশোদ্ভূত এবং তার মা একজন হিন্দু ।  বিজয়ের একটি বোন ছিল বিদ্যা, যিনি মাত্র দুই বছর বয়সে মারা যান। 

প্রাথমিকভাবে কোডাম্বাক্কামের ফাতিমা ম্যাট্রিকুলেশন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে। বিজয় পরে ভিরুগামবাক্কামের বালালোক ম্যাট্রিকুলেশন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন  এবং লয়োলা কলেজ থেকে ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশনে ডিগ্রি অর্জন করেন ।

 দশকে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের সিনেমাগুলো বেশ পোক্ত অবস্থান করে নিয়েছে। তামিল, তেলেগু ও মালায়লাম ভাষার সেসব সিনেমার গল্প আর নির্মাণশৈলি বাজিমাৎ করছে একের পর এক। এমন নয় যে, অতীতে এসব ইন্ডাস্ট্রি সফল ছিল না। তবে আগে এখানকার সিনেমার জনপ্রিয়তা ও বাজার ছিল দক্ষিণ ভারতেই। এখন সেটা পুরো ভারত, দক্ষিণ এশিয়া এমনকি অন্যান্য দেশেও উল্লেখযোগ্য পরিচিতি লাভ করেছে।

সাউথ ইন্ডিয়ান সিনেমার এই উত্থান যাদের হাত ধরে হয়েছে, যেসব তারকা নিজেদের ছড়িয়ে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে, তাদের মধ্যে একজন বিজয়। সিনে দুনিয়ায় তাকে বলা হয় থালাপতি বিজয়। ‘থালাপতি’ অর্থ নেতা। অর্থাৎ বিজয়কে এ প্রজন্মের পথপ্রদর্শক বললেও ভুল হবে না। তিনি তামিল সিনেমার সর্বোচ্চ সম্মানী পাওয়া অভিনেতা হিসেবেও পরিচিত। 

বিজয়ের আসল নাম জোসেফ বিজয় চন্দ্রশেখর। ১৯৭৪ সালের ২২ জুন তিনি তামিলনাডুর মাদরাসে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা এস. এ. চন্দ্রশেখর তামিল সিনেমার একজন সফল নির্মাতা ও প্রযোজক। বিজয়ের মা শোবা একজন কণ্ঠশিল্পী।

ছোট বেলায় বিজয় বেশ চঞ্চল ও বাচাল ছিলেন। সারাক্ষণ নানারকম কথা বলতেন আর দুষ্টমি করতেন। কিন্তু ছোট বেলায় বোন বিদ্যার মৃত্যুর ঘটনায় বড় আঘাত পান বিজয়। এরপর থেকেই তিনি চুপচাপ হয়ে যান।

ফাতিমা ম্যাট্রিকুলেশন হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল দিয়ে বিজয়ের পড়াশোনা শুরু। এরপর বালালোক ম্যাট্রিকুলেশন হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল ও লয়োলা কলেজে পড়েছেন তিনি। কিন্তু পাঠ্য জীবনে তার ব্যর্থতাই ছিল বেশি। কেননা পড়ার প্রতি তার কোনো মনোযোগ ছিল না। বিজয়ের ধ্যান-জ্ঞান সবজুড়ে ছিল শুধু অভিনয়।

সিনে পরিবারে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তাই স্বাভাবিকভাবেই বিজয়ের মনে অভিনয়ের ইচ্ছে জন্মায়। ১০ বছর বয়সে বিজয় প্রথমবার অভিনয় করেন। ১৯৮৪ সালে বাবার নির্মিত ‘ভেত্রি’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেন তিনি। তার অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ আর দক্ষতার সুবাদে আরও বেশ কিছু সিনেমায় শিশুশিল্পীর চরিত্রে কাজের সুযোগ পান। ‘কুদুমবাম’, ‘ভাসান্তা রাগাম’, ‘সাত্তাম অরু ভিলাইয়াট্টু’ ও ‘ইথু ইংগাল নীতি’ সিনেমাগুলোতে শিশু বিজয়কে দেখা গেছে। সুপারস্টার রজনীকান্তের ‘নান সিগাপ্পু মানিথান’ সিনেমাতেও শিশু চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

১৯৯২ সালে বিজয় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ‘নালাইয়া থিরপু’ নামের সেই সিনেমাও নির্মাণ করেছিলেন তার বাবা এস. এ. চন্দ্রশেখর। এরপর আরও দুটি সিনেমায় নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন বিজয়। সিনেমাগুলো উল্লেখযোগ্য সাফল্য পায়নি। ১৯৯৪ সালে আসে সেই সাফল্য। সিনেমার নাম ‘রাসিগান’। অবশ্য এটি বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করলেও সমালোচকদের কাছে প্রশংসা পায়নি। তবে এই সিনেমার মাধ্যমেই বিজয়ের নামের পাশে ইলায়া থালাপতি শব্দটা যুক্ত হয়। যার অর্থ তরুণ নেতা। পরবর্তীতে এই উপাধি ‘থালাপতি’ বা নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৯৬ সালের ‘পুভে উনাক্কাগা’ সিনেমায় অভিনয় করে বিজয় প্রশংসা এবং বক্স অফিস সাফল্য দুটোই লাভ করেন। এর মাধ্যমে তিনি তারকা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হন। ২০০০ সালের পর বিজয় সিদ্ধান্ত নেন, কমেডি ধাঁচের সিনেমা বেশি করবেন। তার পথ ধরে অনেকেই সেই দিকে ঝুঁকে পড়েন। কমেডি সিনেমা তখন সাউথ ইন্ডিয়ান সিনেমায় ট্রেন্ডে পরিণত হয়ে যায়। তার অভিনীত ‘ফ্রেন্ডস’, ‘বাদ্রি’, ‘শাহজাহান’, ‘থামিজান’ ইত্যাদি সিনেমার কথা দর্শকরা মনে রাখবে অনেক দিন।

বিজয় তার সাফল্যময় ক্যারিয়ারে ৬৪টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে সফল সিনেমার সংখ্যাই বেশি। ‘থুপ্পাক্কি’, ‘বিগিল’, ‘মেরসাল’, ‘মাস্টার’, ‘থেরি’, ‘নানবান’, ‘সরকার’, ‘জিল্লা’, ‘ভেলায়ুধাম’, ‘ঘিল্লি’, ‘পক্কিরি’, ‘পুলি’, ‘কাভালান’, ‘থুল্লাধা মানামুম থুল্লাম’, ‘ভেট্টাইকারান’, ‘বৈরাভা’, ‘থালাইভা’, ‘সাঁচে’, ‘শিবাকাশি’, ‘কুশি’, ‘সুরা’, ‘নেররাক্কু নের’, ‘বিল্লু’, ‘ভগবতী’, ‘কুরুভি’ সিনেমাগুলো বিজয়ের নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে।

শুধু অভিনয়ই নয়, বিজয় গানেও দারুণ দক্ষ। তামিল অভিনেতাদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে ভালো কণ্ঠশিল্পী। তিনি বহু সিনেমায় প্লেব্যাক করেছেন। গান করেছেন এ আর রহমান, দেবা, ইলাইয়ারাজা, যুবা শঙ্কর রাজা, বিদ্যাসাগর, রামানা গগুলা ও সান্তোষের মতো সঙ্গীত পরিচালকের মিউজিকে। ১৯৯৪ সালে ‘রাসিগান’ সিনেমার মাধ্যমে বিজয় প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর দুই ডজনের বেশি গান করেছেন তিনি।

অভিনয়ের জন্য বিজয় বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। ১৯৯৮ সালে তামিলনাডুর সরকারের কাছ থেকে ‘কালাইমণী’ পুরস্কার পান। এরপর ২০০৭ সালে তিনি ড. এম. জি. আর এডুকেশনাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া তিনি দুইবার তামিলনাডু স্টেট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস, নয়বার বিজয় অ্যাওয়ার্ডস এবং চারবার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস সাউথ অর্জন করেছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিজয় বিয়ে করেছেন সঙ্গীতা স্বর্নালীগামকে। ১৯৯৯ সালে লন্ডনে সঙ্গীতার সঙ্গে দেখা হয় বিজয়ের। এরপর তারা বিয়ে করেন। বর্তমানে তাদের ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

Vijay Actor এর চরিত্রের রাশিফল

আপনি প্রচন্ড বাস্তবিক আর সমানভাবে সক্ষম। আপনি খুব পরিপাটি প্রকৃতির, এবং আপনি সুশৃঙ্খল আর পরিস্কার-পরিচ্ছনতা ভালবাসেন। এটাও সম্ভব যে এইসব গুনাবলী আপনার মধ্যে খুবই বিকশিত, এবং হতে পারে যে খুঁটিনাটি জিনিস দেখতে গিয়ে জীবনের কিছু বড় সুযোগ আপনি হারিয়ে ফেলেন।আপনি একজন দ্বিধাগ্রস্ত মানুষ। যদিও পৃথিবীতে নিজের রাস্তা তৈরি করার গুন আপনার আছে এবং উন্নতির শিখরে পৌছানোর ক্ষমতাও আপনার মধ্যে বর্তমান,

তবে একটু বেশি উদ্যম দেখাতে গিয়ে আপনার থেকে কম গুনের মানুষ আপনার থেকে আগে এগিয়ে যায়। তাই নিজের অলীক সীমাবদ্ধতা নিয়ে বেশি ভাববেন না। আপনি শুধু সফলতা গ্রহণ করার কথা চিন্তা করুন, দেখবেন ঠিক সফল হবেন।আপনি হিসেবী এবং বাস্তবিক। আপনি সবসময় কিছু অর্জন করতে চান।

 আপনার মনের মধ্যে কিছু প্রবল আকাঙ্ক্ষা সবসময় প্রজ্জলিত থাকে। এটা সময়ের সাথে আপনাকে অস্থির করে তোলে। যদিও আপনি আপনার সাফল্যে সবসময় গর্ববোধ করে থাকেন।আপনি উদার এবং সংবেদনশীল। কোনো প্রয়োজনীয়তায় বা কেউ মর্মান্তিক যন্ত্রণার মধ্যে থাকলে, এটা ভাবায় যায় না যে আপনি সাহায্যের হাত না বাড়িয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যাবেন।

Vijay Actor এর সুখ ও সাচ্ছন্দের রাশিফল

আপনি প্রায়শয় নিরাশ হন আর জীবনের কাছ থেকে একটু বেশি চান, কারণ আপনি জীবনের ছোট-ছোট জিনিস যেগুলো ঘটে সেগুলোতে ভয় পেয়ে যান, যা উচিত নয়। আপনি প্রচন্ড লাজুক আর নিজের আবেগ-অনুভূতি বোঝাতে অসুবিধা বোধ করেন। যদি প্রতিদিন অল্পসময় নিজের মস্তিষ্ককে স্বচ্ছ রেখে ধ্যানে বসেন, তো আপনি শান্তি অনুভব করবেন আর বুঝবেন যে জিনিসগুলো অতটা খারাপ নয় যতটা আপনি মনে করেন।আপনার মন পড়ার সময় অন্য স্থানে ঘুরে বেড়ানোর অভ্যাসের জন্য দীর্ঘ সময় যাবৎ পড়াশোনা করা আপনার জন্য কোনোদিনই সম্ভবপর হবে না। এই কারণে আপনার শিক্ষা জীবনে এর খারাপ প্রভাব পরবে।

যদি আপনি আপনার অলস জীবনের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে পারেন তবে তা আপনার শিক্ষাক্ষেত্রে ভালো প্রভাব সৃষ্টি করবে। আপনার অপরিচিতি বিষয় গুলির ওপর প্রবল ঝোক রয়েছে। আপনার অনুভাবনী ক্ষমতার জন্য আপনি নির্বাচিত বিষয়ে বিশেষ সাফল্য অর্জন করবেন। এরই সাথে আপনার মনযোগ বৃদ্ধির ওপর নজর দেওয়া উচিত এর ফলে আপনি একাগ্রতার সাথে পড়াশোনা করতে পারবেন। আপনি কঠোর পরিশ্রম করলে এই জগতের কোনো শক্তি আপনাকে সাফল্য লাভ থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না।

চলচ্চিত্রের তালিকা
সাল চলচ্চিত্র চরিত্র
১৯৮৪ কুদুমবাম নারাদা
১৯৮৬ বসন্ত রাগম বিজয়
১৯৮৭ সাত্তম ওড়ু বিলয়াট্টু রাজা
১৯৮৮ ইথু আঙাল নীঠি অজানা

    soruse :  wikipedia    celebrity   

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0